মার্চের উল্লেখযোগ্য ঘটনা | ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের ঘটনাপ্রবাহ | Moral of The Story 2022-Part-02


হ্যালো আসসালামু আলাইকু EducationShopBD.Com ওয়েব সাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

আশা করি মহান আল্লাহ্ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমরাও আল্লাহ্ রহমতে ভালো আছি। আজ আপনাদের জন্য কিছু ইসলামিক তথ্য নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।  

    মার্চের উল্লেখযোগ্য ঘটনা | ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের ঘটনাপ্রবাহ | Moral of The Story 2022

    প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা অনেকেই অনেক সময় বিভিন্নভাবে মার্চের উল্লেখযোগ্য ঘটনা,১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের ঘটনাপ্রবাহ,Moral of The Story 2022 লিখে খুজাখুজি করেন।কিন্তু মনের মত মার্চের উল্লেখযোগ্য ঘটনা,১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের ঘটনাপ্রবাহ,Moral of The Story 2022 সঠিক কোন তথ্য পাছেন না। সেইসব পাঠক ভাই ও বোনদের জন্য আমাদের আজকের এই পোষ্ট।আশা করি আপনাদের কাজে আসবে।

    ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের ঘটনাপ্রবাহ | Moral of The Story 2022-Part-01

    মার্চের উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৭১ সালের মার্চ মাস ছিল উত্তাল ঘটনাবহুল মাস।মার্চের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো হলো।

    ১৪ মার্চ, ১৯৭১

    দুই পাকিস্তানে দুই দলের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের ফর্মুলা ভুট্টোর।জনগণের সার্বিক স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলছে, চলবে - শেখ মুজিব। অসহযোগ চালিয়ে যাওয়ার বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ।বাংলার অসহযোগে পশ্চিমা শিল্পপতিদের নাভিশ্বাস। সামরিক সরকারের প্রতি স্মরকলিপি প্রদান। বঙ্গবন্ধুর চার দফা মেনে নেওয়ার আহ্বান। হরতালের কারণে ফল চালান করতে না পারায় লাহোরে শত শত মণ ফল নষ্ট।ঢাকার পানের অভাবে করাচিতে প্রতি সের পান ১৫০ টাকা।১১৫ নং নির্দেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।আওয়ামী লীগের পক্ষে সরকার পরিচালনায় তাজউদ্দীন আহমেদ এর ৩৫ দফা জারি। ১৫ মার্চ, ১৯৭১
    ইয়াহিয়ার ঢাকা আগমন। বঙ্গবন্ধুর নতুন নির্দেশ।ভুট্টোর দুই পার্টি সমাধানে পশ্চিম পাকিস্তানেই ব্যাপক ক্ষোভ। সর্বমহলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। ভুট্টোর সমাধানকে অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করেন পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ।চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে সকল কাজে বাংলা প্রচলনের সিদ্ধান্ত।

    ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের ঘটনাপ্রবাহ

    ১৬ মার্চ, ১৯৭১
    মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক শুরু। বঙ্গবন্ধু একটি সাদা গাড়িতে চড়ে বৈঠকে যান।যার সামনে ছিল একটি কালো পতাকা এবং উইন্ডো সিল্ডে বাংলাদেশের মানচিত্র। নিউজউইকের প্রতিবেদন প্রকাশ।৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কার্যত স্বাধীনতার ঘোষণাই করলেন।জামালপুরে হাজার হাজার লোকের লাঠি ও নানান রকম দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল। ১৭ মার্চ, ১৯৭১
    মুজিব-ইয়াহিয়া দ্বিতীয় দফা বৈঠক। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা। জনগণকে ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে আহ্বান।ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশগামী সকল বিদেশি বিমানের চলাচল নিষিদ্ধ। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানগামী সকল বিমানকে ভারতে একবার অবতরণ করতে বলা হয়েছে।পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সেনা বহন করে পূর্ব পাকিস্তান নেওয়া রোধ করতে ভারত সরকার এমন ব্যবস্থা নিয়েছে।মাওলানা ভাসানী কর্তৃক পাকিস্তানের জাতীয় দিবস এর পরিবর্তন করে স্বাধীন পূর্ব বাংলা দিবস পালনের আহ্বান। ১৮ মার্চ, ১৯৭১
    ১৭ মার্চ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন। আওয়ামী লীগের তদন্ত কমিটি বর্জন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, এই তদন্ত কমিশন চাই নাই। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণকে এই তদন্ত কমিশনের সাথে কোনও সহযোগিতা না করার আহ্বান। শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে ইয়াহিয়ার ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ নাকচ করেন ভুট্টো।

    Moral of The Story 2022

    ১৯ মার্চ, ১৯৭১
    জয়দেবপুরে(গাজীপুর) জনতায়-সেনাবাহিনী সশস্ত্র সংঘর্ষ।এলাকায় কারফিউ জারি। সেনাবাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডকে উসকানিমূলক বলে অভিহিত করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান।মুজিব-ইয়াহিয়া তৃতীয় দফায় বৈঠক। ৯০ মিনিটের বৈঠকে ইয়াহিয়া ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া অন্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না।ভারতের সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ বলেন, মুজিবকে সমর্থন দেওয়া গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিশ্ববাসীর অবশ্য কর্তব্য। চলমান অসহযোগ আন্দোলনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘গান্ধিজীর পরে শেখ মুজিবুর রহমানই এতখানি বিশাল আয়তনে অহিংস শক্তি প্রদর্শনের ক্ষমতা লাভ করিলেন’। তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান যেরূপ সাফল্যের সহিত জনসাধারণকে সর্বাত্মক ঐক্যে তাহার পশ্চাতে কাতারবদ্ধ করিতে সক্ষম হইয়াছেন, সমগ্র ইতিহাসে অন্য কোনও নেতার জীবনে এরূপ দৃষ্টান্ত খুঁজিয়া বাহির করা খুবই দুষ্কর।’ ২০ মার্চ, ১৯৭১
    মুজিব-ইয়াহিয়া চতুর্থ দফায় বৈঠক। সোয়া দুই ঘণ্টা স্থায়ী এই বৈঠকে আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

    মার্চ মাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    ২১ মার্চ, ১৯৭১
    ইয়াহিয়া-মুজিব অনির্ধারিত বৈঠক। ৭০ মিনিটের এই বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ।প্রতিরোধ দিবসের কর্মসূচি প্রদান করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। কর্মসূচির মধ্যে আছে ভোর ছয়টায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন। সাড়ে ছয়টায় প্রভাত ফেরি সহকারে শহীদদের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ। সকাল ৯টায় পল্টনে জয়বাংলা বাহিনীর কুচকাওয়াজ। বেলা ১১টায় বায়তুল মোকাররমে ছাত্র জনসভা।কঠোর সামরিক প্রহরায় ১২ জন সহচরসহ ঢাকায় ভুট্টো। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সাংবাদিকদের ভুট্টোর আশপাশে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ২২ মার্চ, ১৯৭১
    ভুট্টোর উপস্থিতিতে মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক। ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়, শেষ মুহূর্তে যদি অতি নাটকীয় কিছু না ঘটে তবে অচিরেই সামরিক আইন প্রত্যাহার হতে যাচ্ছে। ২৩ মার্চ ইত্তেফাকের প্রতিবেদনের ভাষায়, ‘এদিকে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং জনাব ভুট্টো আলোচনার অগ্রগতি হইতেছে বলিয়া মন্তব্য করিয়াছেন। চারি দফা পূর্বশর্ত পূরণ করা না হইলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিবে না বলিয়া ঘোষণা করিয়া এ ব্যাপারে শেখ সাহেব যে আপোষহীন ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছেন, ইয়াহিয়া-ভুট্টো উভয়েই উহার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হইয়াছেন বলিয়া অনুমিত হইতেছে। সম্ভাবত সেই কারণেই অর্থাৎ সামরিক আইন প্রত্যাহার ও গণপ্রতিনিধিদের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরসহ বঙ্গবন্ধুর দাবি পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তেই ভুট্টোর উপস্থিতিতে শেখ সাহেবের সঙ্গে বৈঠক চলাকালেই গতকাল প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আবার স্থগিত ঘোষণা করিয়াছেন।'এদিকে লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ডাক বঙ্গবন্ধুর।পাকিস্তানি বিমান ও জাহাজকে মালদ্বীপে ব্রিটিশ ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমোদন। ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশগামী বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চলকালে ব্রিটেন এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয়। ২৩ মার্চ, ১৯৭১
    দেশব্যাপী প্রতিরোধ দিবস পালন। রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি ভবনসমূহে, বাড়িতে, গাড়িতে কালো পতাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জয় বাংলা’ বাহিনীর অভিবাদন গ্রহণ। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর ছত্রছায়ায় থাকা বিমানবন্দর ভবন, প্রেসিডেন্ট ভবন ও লাটভবন ছাড়া অন্য কোথাও পাকিস্তানের পতাকা দেখা যায়নি।


    Tags:মার্চ মাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা,Moral of The Story 2022,১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের ঘটনাপ্রবাহ,মার্চের উল্লেখযোগ্য ঘটনা.
    আরও ব্লগ নতুন ব্লগ
    কোন কমেন্ট করা হয়নি
    কমেন্ট করুন
    comment url

    আরও পড়ুন...