moral of the story | আসলে টাকা ইনকাম করাই কি সব | মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
এ বিষয়ে কিছু কথা বলছি। ভুল হলে ক্ষমা ও মার্জনীয়।
টাকার পিছে ঘুরছে পৃথিবী হুমড়ি দিয়ে পড়ছে গোটা সমাজ।টাকা চাই, ক্ষমতা চাই, সম্মান চাই। আসলে আমরা কি সত্যিই সুখী হতে চাই? আমরা সুখের পাশে অন্য কিছু খুঁজছি তাই সুখী হতে পারছি না।
মানুষের মন থেকে মুছে গেছে মায়া মমতা, স্নেহ ও ভালোবাসা।প্রাণের স্বামী যখন ঘরে ফেরে পশে গিয়ে দুটো মনের কথা বলতে পারে না প্রিয়তমা। স্বামী বলে তুমি এখন যাও অফিসের অনেক কাজ বাকী।অফিসে যাওয়ার সময় প্রাণের মা যখন দুটো কথা বলতে চাই, ছেলে ব্যস্ত মুখে বলে ওঠে, কিছু বলবা তুমি মা ? ব্যস্ত বলো অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে মা।
এক এক জনের জীবন এক এক রকম করে চলে যাচ্ছে।
কেউ অল্পতেই সুখে দিন পার করছে আবার কারো বেশি পেয়েও সুখ নাই।মানুষের জীবন আজ বিভিষীকাময়।মানুষের জীবন কনক্রিটের দেয়ালের মতো আর পিচ ঢালা পথের মতো শক্ত হয়েগেছে। কারো মনে সুখ নাই, শান্তি নাই। টাকা,ক্ষমতা আর সম্মানের পিছু ছুটে জীবনের আনন্দ টাই মাটি হয়ে যাচ্ছে।হারিয়ে গেছে সুখের সত্য ও সঠিক পথ।
moral criticism example story
রাস্তার ছেলে দুটো ডাল ভাত খেয়ে তৃপ্তি পাচ্ছে। রিকশা চালিয়ে ডালভাতে প্রিয়তমার সাথে সুন্দর মুহূর্ত গুলো পার করছে।কামলা খাঠা লোকটও পেটভরে খেয়ে রাতে দিব্যি ঘুমাচ্ছে। যেখানে ভালো ঘর নাই, দামি তোশক নাই, সম্মান, টাকা, ক্ষমতা নাই,ভালো চাকরি নাই। অথচ ভালো নামি-দামি বাড়ি গাড়ি, টাকা, ক্ষমতা সম্মান,প্রিতমাকে দামী শাড়ি দিয়েও,আর ভালো চাকরি থাকা সত্বেও আজ মানুষের মনে কোন প্রশান্তি নাই? তবে আমি কিছুটা ভুল ধরবো, মনের,জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেকের আর টাকা, ক্ষমতা, সম্মান পাওয়ার লোভের।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
চাইলে অল্পতেই সুখী হওয়া যায়।সুখী হতে বেশি কিছু লাগে না। মনের প্রশান্তিই যথেষ্ট।সুখ একটা মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা। তবে প্রশ্ন আসতে পারে এ গুলো তবে কি সব ভুল? টাকাওয়ালা হবো,ক্ষমতাবান হবো,ভালো চাকরি করবো,সমাজে সম্মানিত হবো,এ গুলো চাওয়া কি ভুল? তবে শোনেন এ সবের মালিক সৃষ্টিকর্তা তিনি যারে খুশি তারে দেন। জোর করে পাওয়া যাবে না শুধু শুধু সমস্যাই বাড়বে।মনের প্রশান্তি মেলবে অল্পতেই। এ বিষয়ে একটি সত্য ঘটনা শোনেন,,,
moral of the story
moral of the story একদা এক ইহুদীর স্ত্রী তার স্বামি কে বললো ওগো,আমাদের ঘরে এগারো মাসের খাবার আছে বাকি এক মাসের খাবার ঘরে নাই।স্বামী চিন্তায় পড়ে গেলেন। তখন স্ত্রী বললেন, তুমি একটু মুসলমানদের নবীর কাছে যাও। তিনিই তোমার একটা ফয়সালা দেবেন। লোকটি নবীর কাছে গেলেন এবং নবী কে সমস্যার কথা বললেন,তখন নবী বললেন, আপনার ঘরে যে খাবার আছে তা সকল সাহাবিদের মাঝে বিলিয়ে দেন।লোকটি বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে বললেন নবীর কথাগুলো। স্ত্রী বললেন মুসলমানদের নবী কখনো মিথ্যা বলেনা।তুমি তাই করো।লোকটি তার সম্পদ নিয়ে এক এক সাহাবীর কাছে যেতে লাগলেন আর বললেন আমি আপনাদের মাঝে আমার পক্ষ থেকে এই সম্পদগুলো দিতে চাই আপনি গ্রহণ করুন।তিনি এভাবে যতো সাহাবিদের বাড়ি গেছেন প্রত্যেক সাহাবী তাকে সুন্দর ভাবে বলে বুঝিয়ে এভাবে বিদায় দিয়েছে,দেখেন ভাই, আপনি তো আমাদের জন্য সম্পদ এনেছেন কিন্তু আজকের মতো খাবার আমাদের ঘরে আছে,গতকালের খাবার আমাদের সৃষ্টিকর্তা ব্যবস্থা করে দেবেন।আমরা ধৈর্য্যশীল ও পরিশ্রমী।
লোকটি ঘরে ফিরে স্ত্রী কে ঘটনা সব খুলে বললেন,আর তখন তাদের সব চিন্তা দূর হয়েগেলো।
এখন আমি বলবো,স্বীকার করলাম সমাজ পরিবর্তনশীল, মানুষের জীবন ধারার পরিবর্তন হবে।চাওয়া পাওয়ার পরিবর্তন হবে।কিন্তু একটা কথা বলবো সত্য ও চিরন্তন। মানুষের মন আর সে মনের প্রশান্তি, স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা এর একটাই পথ তার কোন পরিবর্তন নাই।সঠিক পথে চলা আদর্শিক জীবন যাপন করা।একটা কথা মনে করতে হবে আমি দুনিয়ায় কেন এলাম আমার দায়িত্ব কি মরে গেলেই বা হবে? কেন দুনিয়া, জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি হলো। এর বিপথে গেলেই মানুষ এসব ভুলে যাবে তখন সমাজে খুন গুম,আহাজারি বেড়ে যাবে, অভাব দেখা দেবে,মানুষের ব্যস্ততা বেড়ে যাবে।মানুষের প্রতি মানুষের হিংসা বেড়ে যাবে উঠে যাবে স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা।
আসলে টাকা ইনকাম করাই কি সব
আসলে টাকা ইনকাম করাই কি সবতাই বলবো, টাকা, ক্ষমতা, সম্মান এগুলো তে সুখ আসে না। এগুলো সমাজ ও জীবনের একটা মরিচীকা। সুখ মনের একটা প্রশান্তি। জ্ঞান বিবেক বুদ্ধি, বিশ্বাস ভক্তি আর ভালোবাসা থাকলে অল্পতেই সুখী হওয়া যায়।মানুষ কে ভালোবাসা, বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকা,সৎ পথে থাকা আদর্শিক জীবন যাপন করা, সৎ পরিশ্রম করা, সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস ও ভক্তি, অল্প তে সন্তুষ্টি, এগুলো সুখী হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
টাকা, ক্ষমতা, সম্মান সুখের জন্য যথেষ্ট নয়,যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই যথেষ্ট, বাকীটা দুঃখের কারণ হবে।
Tags:moral of the story,আসলে টাকা ইনকাম করাই কি সব,মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম,moral criticism example story,এ বিষয়ে কিছু কথা বলছি। ভুল হলে ক্ষমা ও মার্জনীয়।